সপ্তম শ্রেণী
বিষয়ঃ হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা
সময়ঃ ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট পূর্ণমানঃ ৭০
নিচের অনুচ্ছেদ গুলো পড়ে যে কোন সাতটি প্রশ্নের উত্তর দাওঃ
১। সবিতা রানী প্রতিদিন সংসারের মঙ্গলের জন্য, ধন-সম্পদের জন্য পূজা করে ভক্তিভরে। অন্যদিকে তারই প্রতিবেশি ইলাদেবী গৃহে প্রতিদিন নাম সংর্কীতন করে নিয়মি শ্রদ্ধাভরে। তাদের ছেলেময়েরাও লেখা পড়ার পাশাপাশি তাদের অনুকরণ করে। তাদের সংসারে রয়েছে সদা সুখ শান্তি।
(ক) ঈশ্বরের পূর্ণ অবতার কে?
(খ) ঈশ্বর কীভাবে জীব ও জগতের ওপর প্রভুত্ব করেন? ব্যাখ্যা কর।
(গ) সবিতা রানী ও ইলাদেবীর আরাধনায় ঈশ্বরের কোন রুপটি প্রতিফলিত হয়েছে তা তোমার পঠিত বিষয়ের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) সবিতা রাণী- ও ইলাদেবীর আরাধনায় ‘ভিন্নতা থাকলেও মূলত ঈশ্বরেরই পূজা করা হয়’-উক্তিটির মর্মার্থ তোমার পঠিত বিষয়বস্তুর আলোকে বিশ্লেষণ কর।
২। মৃৎশিল্পী সুজয় হাঁড়ি পাতিল, খেলনা, প্রতিমা ইত্যাদি তৈরি করেন। কিন্তু তিনি মাটি সৃষ্টি করতে পারেন না। শুধু মাটিই নং, আমরা জল, নদী, সমুদ্র, চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র, জীব, জন্তু ইত্যাদি সৃষ্টি করতে পারিনা। মিনি এসব সৃষ্টি করেছেন, তাঁকে আমরা স্রষ্ঠা বা সৃষ্টিকর্তা বলি।
(ক) ঈশ্বর শব্দের অর্থ কী?
(খ) সৃষ্টিকর্তাকে সর্বশক্তিমান বলা হয় কেন?
(গ) মৃৎশিল্পী সুজয় ও সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির মৌলিক পার্থক্য ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) মাটি, জল, নদী-সমুদ্র যিনি সৃষ্টি করেছেন- উদ্দীপকের আলোকে তাঁর সৃষ্টির মহিমা বিশ্লেষণ কর।
৩। জয়া গল্প শুনতে ভীষণ ভালোবাসে। সে এমন সব গল্প পড়ে ও শোনে যাতে মানুষের মঙ্গলের কথা, কল্যাণের কথা থাকে তার এ রকম আগ্রহ থেকেই সে বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থের জ্ঞান লাভ করে। বিভিন্ন দেব-দেবির কথা জানতে পারে এবং তাদের বিশেষ উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে পারে।
(ক) ‘পুরাণ’ শব্দের অর্থ কী?
(খ) কীভাবে উপপুরান রচিত হয়েছে?
(গ)
(ঘ)
৪। সুকনা তার বাবার সাথে ঢাকেশ্বরী-মন্দিরে বেড়াতে গেল। সেখানে তারা একজন দেবির মূর্তি দেখতে পেল। দেবির দশমানা হাত, সিংহ বাহন এবং শৃলাখাতে একটা বিরাট অসুরকে হত্যা করছে। এ রকম একটি মূর্তি সেখানে ছিল। বাবা বলল, এই দেবি শক্তির দেবি। তিনি অসুর বিনাশিনী। বিপদে আমরা সবাই এই দেবির শরণাপন্ন হই।
(ক) মহাদেবী মহামায়া কে?
(খ) ধর্মগ্রন্থ বলতে কী বুঝ?
(গ) অনুচ্ছেদে উল্লেখিত দেবির আর্বিভাবের কাহিনী ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) অনুচ্ছেদে উল্লেখিত দেবির কাছ আমরা শান্তির জন্য প্রার্থনা করি, উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।
৫। অতনু নিষ্ঠুর প্রকৃতির হলেও সন্তানবৎসল সে সামন্য বিষয়ে ব্যাপারেই রাগান্বিত হয়ে তুলকালাম কান্ড বাধায়। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার সাথে দুর্ব্যবহার করে। তার স্বার্থে আঘাত লাগলে মারধর পর্যন্ত করে। অন্যায়-ভাবে অন্যের সম্পদ কড়ে নেয়। তারই ছেলে দেবিজিৎ আবার সম্পূর্ণ বিপরীত। সে অমায়িক ও দয়ালু এবং পরোকার ও সমাজসেবামূলক কাজ করতে ভালোবাসে। দেবজিৎ বাবার অনৈতিক কর্মকান্ড একেবারেই পছন্দ করে না। অন্যায় দেখলেই প্রতিবাদ করে বলে প্রায়ই বাবার সাথে দ্বন্ধ হয়।
(ক) শ্রীশ্রী চন্ডীতে কতগুলো মন্ত্র আছে?
(খ) শ্রী শ্রী চন্ডী কীভাবে পুরাণের অন্তর্গত?
(গ) অতনুর চরিত্রের সাথে মহিবাসুরের চরিত্রে তুলনামূলক আলোচনা কর।
(ঘ) ‘শ্রী শ্রী চন্ডীর শিক্ষা দেবজিৎ-এর চরিত্রে অনেকটাই প্রতিফলিত হয়েছে’-কথাটি মূল্যায়ন কর।
৬। অধীরবাবু কর্মকে ধর্ম জ্ঞান মনে করেন। মা-বাবা, ভাই-বোন আত্মীয় স্বজন সকলের জন্য তিনি আর্থিক পারিবারিক বিভিন্ন কাজে সহায়তা করেন। তবে তিনি মা, বোন এবং স্ত্রীর মর্যাদা ও অধিকারের প্রতি বিশেষ ভাবে শ্রদ্ধাশীল। এ কাজের জন্য তিনি তাদের কাছে কিংবা সৃষ্টিকর্তার নিকট কোনো কিছু প্রত্যাশা করেন না। তার ধারনা মানুষের জন্ম একবারই হয়। পাপ পূর্ণ সবই এ পৃথিবীতে ঘটে।
(ক) ‘মোক্ষ’ কথাটির মানে কী?
(খ) ‘জন্মান্তরের পেছনে রয়েছে কর্মবাদ’-কথাটির ব্যাখ্যা কর।
(গ) অধীরবাবুর আচরণে হিন্দুধর্মের যে বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত হয়েছে, তা ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) মা, বোন ও স্ত্রীর প্রতি অধীরবাবুর আচরণ যথার্থ: কথাটি তোমার পঠিত ‘‘নারীর মর্যাদা’’ বিষয়ের আলোকে মূল্যায়ন কর।
৭। সপ্তম শ্রেণীর হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা ক্লাসে শিক্ষক বললেন, প্রত্যেক কর্মের ফল আছে। ধর্মাচরণের মূল লক্ষ হচ্ছে মোক্ষলাভ ও জগতের কল্যাণ। এভাবেই জীবন চিরমুক্তি লাভ করে। ঈশ্বরের সাথে মিশে যায়। তাই বলা যায় যে, সকল কাজ ঈশ্বরের কাজ।
(ক) কর্মবাদ কাকে বলে?
(খ) মোক্ষ লাভ বলতে কী বোঝায়?
(গ) ধর্মাচার তোমার ব্যাক্তিগত জীবনে যে ধরনের পরিবর্তন আনতে পরে তা ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) শিক্ষকের সর্বশেষ উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।
৮। হিন্দু ধর্মের রয়েছে নানা বৈশিষ্ট্য। জীব ও জগতের কল্যাণ ভাবনা। এধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। শিবদাস বাবু একজন ধার্মিক মানুষ। তিনি মোক্ষ লাভ করতে চান। তিনি মনে করেন, ধর্মাচরণের মূল লক্ষ্য হচ্ছে নিজের মোক্ষ লাভ ও জগতের কল্যাণ।
(ক) ঈশ্বর তত্ত্ব কী?
(খ) জীবকে কষ্ট দেওয়া মানে ঈশ^রকে কষ্ট দেওয়া ব্যাখ্যা কর।
(গ) সুজন কোন যোগাসনটি নিয়মিত অনুশীল করে সুফল পেয়েছে? উক্ত আসনটির অনুশীল পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) ‘সুজনের অনুশীলকৃত আসনটির উপকারীতা বহুমুখী’- বিশ্লেষণ কর।
১০। সুফল সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সঠিকভাবে প্রত্যেকটি নিত্যকর্ম পালন করে। তাই সে সুন্দর মানসিকতা ও সু-স্বাস্থের অধিকারী হতে পেরেছে। সে নিয়মিত শলবাসন এবং পশ্চিমোওনাসন অনুশীল করে।
(ক) নিজ কর্ম কাকে বলে?
(খ) প্রাতঃ কৃত্যের গুরুত্ব লেখ।
(গ) অনুচ্ছেদের সুফলের নিত্যকর্ম পাঠ্যবইয়ের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) সুফলের অনুশীলনকৃত আসনের দুটির প্রভাব বিশ্লেষণ কর।
১১। সকল ধর্মের জননী হচ্ছে হিন্দু ধর্ম। এ ধর্মের রয়েছে নানা বৈশিষ্ট্য যা মানুষকে পবিত্র জীবনযাপন করতে উদ্বুদ্ভ করে শান্তনু বাবু হিন্দু ধর্মের এসব নিয়ম ও বৈশিষ্ট্য অত্যন্ত ভক্তিভরে মেনে চলেন। তিনি মনে করেন প্রতিটি জীবের মধ্যেই ঈশ^র বিরাজ করেন।
(ক) হিন্দু ধর্মে ঈশ্বরের প্রকৃতি বা শক্তি কী?
(খ) নারীর মর্যাদা বলতে কী বোঝায়?
(গ) হিন্দুধর্মের মূল বৈশিষ্ট্য গুলো শান্তনু বাবুর জীবনের আলোকে কীভাবে তুমি তোমার জীবনে প্রয়োগ করতে পার? ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) শান্তনুবাবুর বিশ্বাসের আলোকে ঈশ^রতত্ত¡ ধারনটি বিশ্লেষণ কর।